Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আর কতদিন এভাবে চরবাসী অবহেলায় থাকবে তা তাদের জানা নেই...........
বিস্তারিত

নটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের একমাত্র বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্ত দু:খের বিষয় এটা চালু রয়েছে শুধুমাত্র ছাত্র/ছাত্রীর বেতন এর মাধ্যমে। এ স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৮০০(আটশত) প্রায়। শিক্ষক এর সংখ্যা ৯ জন। এ স্কুলটি অবস্থিত নটাখোলা বাজার এর পাশে। আর পুরো লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন সহ আরো দুটি ইউনিয়ন (আজিমনগর ইউনিয়ন,হরিরামপুর,মানিকগঞ্জ, ও নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন ফরিদপুর) এর সকল ছাত্র/ছাত্রী এখানে এসে অনেক টাকা ব্যায় করে পড়াশোনা করছে। যাদের টাকা আছে তারাই এখানে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে কারন এখানে লেখাপড়া করার জন্য ছাত্র/ছাত্রীদের নিজের টাকা দিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে। যদের টাকা নেই তারা এখানে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে না। সেহেতু অধিকাংশ ছাত্র/ছাত্রীই তাদের লেখাপড়া করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

পদ্মা নদীর মাঝে তিনটি ইউনিয়ন:

১। লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে প্রাইমারি স্কুল সরকারী ৫ টি ও বেসরকারী ৩ টি এবং আনন্দ ও কিন্ডার গার্টেন এর সংখ্যা ১০ টি (প্রায়) ।

২। নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে সরকারী ২ টি  আনন্দ ও কিন্ডারগার্টেন এর সংখ্যা ৫ টি (প্রায়)।

২।আজিমনগর ইউনিয়নে সরকারী প্রাইমারি স্কুল ৩ টি আনন্দ ও কিন্ডার গার্টেন এর সংখ্যা ৬ টি (প্রায়) ।

প্রতি বছর এ স্কুলগুলো থেকে প্রায় ৭০০থেকে ১০০০ ছাত্র/ছাত্রী বের হচ্ছে কিন্তু তাদের মধ্য হতে খুব কম ছাত্র/ছাত্রীই আছে যারা এখানে এসে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে। আর যারা এ সুযোগ পাচ্ছে তারা স্কুলের বিভিন্ন বেতন ও ফি দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত লেখাপড়া থেকে ঝড়ে পড়ছে।

 

স্কুলটিতে রয়েছে আরো অনেক সমস্য যেমন,

 

১। যে ছাত্র/ছাত্রী আছে তাদের বসার মত ব্রেঞ্চ নেই যার কারনে এক ব্রেঞ্চে ৫-৬ জন করে বসে তাদের পড়াশোনা  করতে হচ্ছে।

২। এ হিমশিম অবস্থায় ছাত্র/ছাত্রী ক্লাশে মনোযোগী হতে পারছে না।

৩। মাসিক বেতন ও আন্যান্ন ফি অনেক বেশি।

৪। যথেষ্ঠ পরিমাণে ঘর ও ব্রেঞ্চ নেই।

আজ পর্যন্ত কোন সরকার আমাদের এ চরবাসীর কথা নিয়ে মাথা ঘামায় নি।

আর কতদিন এভাবে চরবাসী অবহেলায় থাকবে তা তাদের জানা নেই।

ছবি
ডাউনলোড